× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মৌলভীবাজারে আত্মগোপনে আ'লীগের সাবেক এমপিসহ শীর্ষ নেতারা

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।

১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৫৫ পিএম

ছবিঃ ইন্টারনেট

 গষ্টের পূর্ব পর্যন্ত জেলার রাজপথের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছিল ওয়ামীলীগের। বিএনপি-জামাত সহ বিরোধীদল গুলো রাজপথে দাঁড়াতেই পারছিলনা হামলা-মামলার ভয়ে। দলগুলোকে মাঠের বাহিরে দৌড়ের উপর রাখতে ওয়ামীলীগ র পুলিশের চরণ ছিল ভয়ানক গ্রাসী। একের পর এক মিথ্যা মামলায় অনেক নেতাকর্মীর ঠিকানা হয় কারাগার না হয় বাড়ি ছাড়া পালিয়ে বেড়ানো যাযাবর জীবন। 

জেলার রাজনৈতিক এমন পরিস্থিতি ওয়ামীলীগের শাসনামলের পুরো সময়েরই চিত্র। কিন্ত হটাৎ পাল্টে যায় রাজার নীতির সব হিসেব-নিকেষ। 

 গষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ন্দোলনের ডাকে লাখ লাখ ছাত্র-জনতার ঢাকা ঘেরাও চলাকালে এবং গণভবনমুখী ছাত্র-জনতার উত্তাল স্রোতের মুখে শেখ হাসিনার ভারত পালিয়ে যাওয়া এবং সেই সাথে ওয়ামীলীগ সরকারের পতনের খবরে সারা দেশের মতো মৌলভীবাজারের প্রতিটি সড়ক ও অলিগলিতে নেমে সে হাজার হাজার উল্লাসিত জনতা। 

জেলা জুড়ে শুরু হয় ক্ষুব্ধ জনতার সরকারি স্থাপনা সহ ওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ভয়  তঙ্কে প্রথম সারির শীর্ষ নেতা সহ ওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা গাঁ-ঢাকা দিয়ে ত্মগোপনে চলে যান।

দল ও সরকারে পতনের পর ভয়ে পুরো জেলার নেতাকর্মীরা তঙ্কিত হয়ে পড়েন। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতাকেও দেখা যাচ্ছে না প্রকাশ্যে। 

খুঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ গষ্ট সরকার পতনের পর গা-ঢাকা দিয়ে ত্মগোপনে চলে যান ওয়ামীলীগের টিকিটে নির্বাচিত মৌলভীবাজার-৩ সনের সাবেক সংসদ সদস্য জিল্লুর রহমান, মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) সনের সংসদ সদস্য সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী মোঃ শাহাবুদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ সনের সংসদ সদস্য সফিউল লম চৌধুরী নাদেল,  মৌলভীবাজার-৪ সনের সংসদ সদস্য ও বিদায়ী সরকারের কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. ব্দুস শহীদ সহ চার টি সনের বিদায়ী সংসদ সদস্যরা ৫ গষ্ট পটপরিবর্তনের পরপরই চলে যান ত্মগোপনে। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনেও মিলছেনা সংযোগ। এছাড়াও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান ও  নির্বাচিত ৭ জন ওয়ামীলীগ দলীয় কাউন্সিলরও গা-ঢাকা দিয়েছেন। গা-ঢাকা দিয়েছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানও। এছাড়াও জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে অধিকাংশ উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র সহ সরকার দলীয় বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরাও রয়েছেন ত্মগোপনের তালিকায়। 


এ দিকে সরকার পতনের পর মন্ত্রী, এমপি, মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও ত্মগোপনে রয়েছেন জেলা ওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নেছার হমেদ, জেলা ওয়ামীলীগের সদস্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম এ রহিম (সিইপি),  জেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ সেলিম হক, জেলা ওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নওশের লী খোকন, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রুমেল হমদ সহ দলটির সবগুলো সহযোগী সংগঠনের নেতারাও এখন ত্মগোপনে রয়েছেন। প্রকাশ্যে কোথাও নেই তাঁদের তৎপরতা। এসব নেতারা গত ৪ গষ্ট পর্যন্তই সরব ছিলেন রাজপথে। অনেকে ছাত্র-জনতার উপর  হামলায় প্রকাশ্যে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিয়েছেন।  

পুলিশ সূত্র জানায়, ৪ গষ্ট মৌলভীবাজার শহরে ছাত্র-জনতার উপর ওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলার ১০ দিন পর দলটির শীর্ষ নেতা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সহ ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত রও ২ শ জনকে সামি করে মামলা দায়ের করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ন্দোলনের সমন্বয়ক ব্দুল কাদির। বুধবার (১৪ গষ্ট) রাতে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (১৫ গষ্ট) দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম। 

এর গে চলতি মাসের ৪ গষ্ট ঢাকা সহ সারা দেশের মতো মৌলভীবাজার শহরেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসুচি অনুযায়ী জমায়েতের সিদ্ধান্ত হয়। সেসময় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়ামীলীগও ন্দোলন প্রতিরোধে মাঠ দখলের সিদ্ধান্ত নিলে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে।  সেদিন শহরের বেড়িরপার ও চৌমুহনা এ দুটো স্পটে শক্ত অবস্থান নেয় ত্মবিশ্বাসে থাকা ওয়ামীলীগের কয়েকশো নেতাকর্মী। র সরকারি কলেজ গেট থেকে পৌরসভা গেট পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থী সহ সাধারণ জনতা। দুপুরের পর চৌমুহনা এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপক হামলা চালিয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে মারাত্মক হত করলে শুরু হয় সংঘর্ষের সূত্রপাত। এর পরই পাল্টাতে থাকে দৃশ্যপট। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে একটা সময়  হাজার হাজার ছাত্র-জনতার ব্যাপক প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয় ওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। কিছুটা সময়ের জন্য শহরের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রদের হাতে চলে গেলেও সন্ধ্যার দিকে ন্দোলনকারীদের হটিয়ে শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.